মালয়েশিয়ান তরুণীর পর এবার প্রেমের টানে কুমিল্লার বরুড়ায় ছুটে এসেছেন মালদ্বীপের এক তরুণী। হাব্বা আহমেদ নামের ওই তরুণী বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা ইউনিয়নের গণ্ডামারা গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ রাসেলকে এরই মধ্যে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর নিজ দেশ মালদ্বীপ থেকে স্বামীর সঙ্গে চলে এসেছেন হাব্বা আহমেদ।
বুধবার সন্ধ্যায় রাসেল জানান, ২০১৪ সালে আমি মালদ্বীপ যাই।
কাজের সূত্রে মালদ্বীপের মালে সিটিতে ২০১৯ সালে করোনা শুরুর সময় হাব্বার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ২০২১ সালে অক্টোবর মাসে সেখানেই তারা বিয়ে করেন। গত ২৪ জুলাই মালদ্বীপ থেকে হাব্বা আহমেদকে নিয়ে বরুড়ায় আসেন তিনি।
রাসেল বলেন, হাব্বা আহমেদ মালদ্বীপের মালে সিটির আহমেদ দিদির মেয়ে। মালে সিটিতে হাব্বা আহমেদের পরিবার এবং আমার আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয় আমাদের। আমরা এখন সুখে আছি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘রাসেল মালদ্বীপের একটি মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে। এখন তাকে নিয়ে দেশে এসেছে। এ ঘটনায় আমরাও আনন্দিত।
এর আগে গত ১১ জুলাই প্রেমের টানে মালয়েশিয়া থেকে বরুড়ায় ছুটে এসেছেন এক তরুণী। ওই তরুণীর সঙ্গে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। এরপর বাংলাদেশি প্রেমিক ও বিদেশি প্রেমিকার পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তাঁরা।
বর সাইফুল ইসলাম সুজন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের দীঘলগাঁও গ্ৰামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। মালয়েশিয়ার তরুণীর নাম নূর আজিমা বিনতে মোস্তফা। তিনি মালয়েশিয়ার পেনাং শহরের বাসিন্দা। গত ১২ জুলাই সন্ধ্যায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয় তাদের।